Tuesday, October 13, 2020

জাগো নারী জাগো | Present Situation Poem Written by Bangladeshi Poet. Lota Islam


 জাগো নারী জাগো

গাজী মোসাঃ লতা ইসলাম



আমার দেশের সোনা মাটি
তবুও আমি ভয়ে হাঁটি!
নাই তো জানা কোথায় আছে
শেয়াল কুকুরের কোনটি ঘাঁটি।
মুক্ত স্বাধীন আমার দেশ
আগাছাতে তলিয়ে বেশ,
নিড়ানি দিয়েই তাদের এবার
করতে হবে শেষ।
বসে থেকো না আর ওহে নওজোয়ান বীর
অনেক খানিক বাড়ছে ওরা
কাটতে হবে শির।
যদি কাটার উল্টোদিকে
আঘাত লাগে গায়
কষ্ট করে সয়ে নিও
পারনা কেহ পায়।
ওরা কি বুঝবে তোমার মূল্য
ডাস্টবিনের ফেলা ময়লা,
কয়লা ধুলে যায় না কালি
ওরা আসলে পিছল সেওলা।
জাত- ধর্ম বর্ণ কিছুই তাদের নেই,
কুকুর স্বভাব ওদের ভাই
গন্ধ পচা সেই!
ওরা চিনেনা বয়ো-বৃদ্ধ
পাগল কি'বা শিশু,
শয়তানের ঐ ঘোড়া ওরা
আসল ওরাই পশু।
আমরা শহীদের বংশধর
দূর্বল নয় কভু,
শক্তি সাহস আছে মোদের
সাথে থাকেন প্রভু।
উপড়ে ফেলতে হিংস্র-হায়েনা
ধ্বংস দিবো ঘাটি,
জানিয়ে দিলাম জানিস তোরা
আমিই দেশের মাটি।
কেনো বারবার নিজেকে মনে করো দূর্বল
ইট মারলে পাটকেল খেতে হয় বুঝিয়ে দাও,
সময় এসেছে ঘুরে দাড়াবার
জলন্ত আগুন ছড়িয়ে দাও,
হিমাগারে বসে থেকো না আর,
জাগো নারী জাগো এবার।

Monday, June 29, 2020

*আত্মধ্বণি* Kobita Somogro



*আত্মধ্বণি*

গাজী মোসাঃ লতা ইসলাম



একটি কবিতা লিখো, হে কবি!
যদি লিখতেই হয়,
লিখো অন্যায়ের বিরুদ্ধে
সত্যের স্লোগান নিয়ে।

অমৃতবাণি বর্ষনে তুলে ধরো
গুপ্ত ইতিহাস অন্য কিছু নয়।
যাহা জানতে পারেনি আজও প্রজন্ম।

নবীন জনতা মধ্য-বয়সী নারী
কী করে হারালো সম্ভ্রম সেদিন
পিতা, ভ্রাতা আর ভিটে-বাড়ি।
কিসের আয়োজনে বলিদান দিয়েছে প্রাণ ---
শতোশতো স্বজন গেছে ছাড়ি।

পথের সন্ধান দিতে তুমি পারো হে কবি !
কালির আঁচড়ে তুলে ধরি
কাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজ পথ বিজয়ের নিশান গড়ি।
সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্যের প্রষ্ফুটিত ছবি --
কি করে নিষ্পাপ শিশু নির্যাতন থেকে পায়নি প্রাণ ফিরি।

প্রিয়জন হারা শতো মায়ের ক্রন্দন শুনতে পাই যেদিকে তাকাই
পৃথিবীটা যেনো নিঃসন্দেহে বোবা পাথরে পরিণত হয়েছিল সে দিন।
দিনের অলস বেলায় হারিয়ে গেছে কতোদিন।
চুপ করে বসে থেকোনা আর তুলে ধরো হে নবীন
কি ছিলো তাদের অপরাধ?
ভাষার জন্য জীবন বিপন্ন
আমৃত্যুর মাঝে ধন্য, করে জীবন তুচ্ছ।
আজও কুড়ায় তাঁরা ফুলের গুচ্ছ।

একটি কবিতা নতুন করে সাজিয়ে গুছিয়ে দাও --
স্বাধীন দেশের স্বাধীন জাতি
অন্যের ঘরে কেনো জ্বালায় বাতি?
কি করে আজ চিনবো হায়
হয়েছিলো কে আপনজন
কে ছিলো মোর স্বাধীনতার সাথি?

যখন শুনতে পাই যতোদুর
বেজে ওঠে কানে অমর একুশের গানে,
হারানো শোকে আজও নেচে উঠে প্রাণ।
শতো মায়ের আর্তচিৎকারের সুর,
কী করে ভুলিবো সে গাণ?

Monday, June 15, 2020

আমার বাংলা - Kobita Somogro

আমার বাংলা

গাজী মোসাঃ লতা ইসলাম


আমার বাংলা মায়ের আঁচল ছায়া
সবুজ সবুজ শাড়ি
রোজ প্রভাতে শিশির ভেজা
সোনালী সূর্যের বাড়ি।


সকাল হলে লাঙ্গল কাঁধে
কৃষক শ্রমিক মাঠে
ভোরের পাখি শিশ দিয়ে যায়
নিত্য নতুন ঘাটে
আরে খোকা আয়রে খুকু
পাঠশালাতে যাই
জ্ঞান কুড়িয়ে সবাই মোরা সবাই
বড়ো হতে চাই।


মোদের গাঁয়ের ছোট্টো নদী
নয়তো বেশি দূর
মাঝি- মাল্লা পাল তুলে গায় ভাটিয়ালি সুর।
আঁকা-বাঁকা মেঠোপথে
বাউলের একতারাতে
পরন্ত বেলায় বাজে কানে
রাখালিয়া সুর।

Friday, June 12, 2020

দুর্বল নই আমরা নারী - Kobita Somogro


দুর্বল নই আমরা নারী

জী. এম. লতা ইসলাম


আমরা ও প্রতিবাদ করতে পারি --
অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে পারি ,,,,
হে নারী নিজেকে মনে করোনা কভু অসহায়!
শক্তি সাহস বুদ্ধিতে তুমিও কারো থেকে কম নও !

স্বাধীন দেশের স্বাধীন জাতি আমাদেরও আছে অধিকার।
নারী মানে অবহেলিত নয়, নয় তারা বঞ্চিত,
আছে তাঁদের ও বুকে অঢেল সাহস সঞ্চিত।
এসো,হে নারী ! নিজেকে আর করোনা আড়াল।।

ভেঙ্গে দাও ঐসব জালিমের বিষ দাঁত,
যারা অবলা নারীর লুন্ঠন করে ইজ্জত।
কেড়ে নেয় যারা ছোটো ছোটো ফুটে ওঠা ফুল কলি
এসো আজ জড়ো হয়ে তাদের কে দুপায়ে ডলি।

যে সমাজে ভয়ে ভয়ে নারী পথ চলে,
রক্ষকেরা ভক্ষণ করে ফেলে দেয় ডাস্টবিনে,,,
নারী জীবনের আজ নেই কোনো নিরাপত্তা,
মুখ লুকিয়ে সইবে কতোদিন আর হায়েনার অত্যাচার,
নারী জন্মকে মনে করো না কভু তুচ্ছ , গর্জে ওঠো হে নারী
তুলে নাও হাতে তলোয়ার।

এই সমাজের ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকা আগাছা গুলো করতে হবে পরিষ্কার।
দূর্বল নই আমরা নারী,এসেছে সময় রুখে দাঁড়াবার।

Thursday, June 11, 2020

অবাঞ্ছিত জীবন - Kobita Somogro

obanchito jibon

অবাঞ্ছিত জীবন

গাজী মোসাঃ লতা ইসলাম


কি হবে আর বেঁচে থেকে
আমি নির্মাণ করতে চাই এক ফাঁসির মঞ্চ -
তোমায় কষ্ট করে জ্বালাতে হবে না চিতার আগুন-
আমি জ্বলে পুড়ে হবো ছারখার ।

যে অগ্নিকুন্ড সাজিয়েছো তুমি নিজের অজান্তেই ,
ইতিহাসে থাকবে অম্লান
যখন আমার সমাধি হয়ে যাবে মলিন
রঞ্জিত হবে যখন অামা‌রি রক্তে এ মাটি
হয়তো ভুল ছিল আমার তুমি -ই খাঁটি!

নির্ভীক কণ্ঠে শুধাতে চাইবোনা
করবোনা ভালোবাসার অপমান :
একদিন বুঝিয়ে দেবে তোমাকে আকাশ, বাতাস,
পাহাড় -পর্বত আর ঝর্ণাধারা '
তোমার কারণে
আজ ফাঁসির অনুষ্ঠানে আমি আত্মাহারা।

এখানেই শেষ নয়!

রচনা করেছিলে কালো গোলাপের কাঁটা গুলো
উৎফুল্ল হয়েছিলে জ্বলন্ত অগ্নিশিখায়
সে-দিন বিশ্বাস করেছি, আজও করবো
তোমার দেয়া বিষের যন্ত্রণা বইতে আজ আর
এতটুকুও অভিযোগ নেই. …
অস্বীকার করবোনা মধু মাখা হাসি
যার কারণে গলেতে নিজের অজান্তেই -
ঝুলিয়ে দিলাম ফাঁসির রশি
উপরে ফেলা যায় না কভু মনুষ্যত্ব দেবত্বেরই রূপান্তর
ঘটেছে যেখানে মৃত্যুর সজ্জা
যদিও কেউ কাউকে কিছু না বলার প্রতিজ্ঞা করেছি মনে মনে।

তোমার উন্মুক্ত বিষের বাঁশিতে
সুরের মূর্ছনায় পুরোনো স্মৃতি গুলো দেখিয়ে নিয়ে যায়
দুঃসহ যন্ত্রনা, লিখে তুমি দিয়েছো যা হৃদয়...
মাঝে মাঝে একটু শুনেছিলাম পথসভার জয়গান
আমার প্রাণ ত্রাহি ত্রাহি -প্রিয় ভালো থেকো তুমি।

নতুন অঙ্কুরিত কোনো....
চারা-ই নয় আমার প্রাণের উচ্ছ্বাস,
গ‌ৌধূলির আলো-আঁধারের প্রান্তসীমায় খেলা
আর সূর্যোদয়ে আমি নিঃসন্দেহে
মিশে থাকবো পৃথিবীতে হয়ে নিঃশ্বপ্রাণ
নেই কোনো সন্দেহ করবোনা প্রতিবাদ।

নীরবে চোখের আড়াল থেকে সইবো
ভাঙা তরী নিয়ে ছেঁড়া পাল তুলে
ঢেউয়ের তালে তালে আমি তো......
মরণ খেলায় মেতেছি
আনন্দের অনুভূতির ছোঁয়া পেতে!

একটুতেই তুমি কেঁপে উঠতে ভয়ে,
তা-ই তো-ইচ্ছে ঘুড়ি উড়িয়ে দিলাম তোমার মনের কোণে
আমি ভুলে গিয়েছি তুচ্ছ জীবনের কথা,
তুলে নিয়েছি ফাঁসির দড়ি মঞ্চে রয়েছি দাঁড়ি‌য়ে
কি হবে আর বেঁচে থেকে অবাঞ্ছিত জীবন নিয়ে
ভালো থেকো প্রিয় বিদায় নিলাম চিরতরে ।

শেষের হিসাব - Kobita Somogro




শেষের হিসাব

গাজী মোসাঃ লতা ইসলাম

কল রাজার মহারাজা দিবে যখন ডাক
ছাড়তে হবে এই পৃথিবী সবই পড়ে থাক ।

এক সেকেন্ডের সময় তিনি দিবেনা যখন
এ-ই দুনিয়ায় কিছুই কাজে আসবেনা তখন।

কিশের লাগি গড়ছো এমন সাদের বালাখানা
মাটির মানুষ মাটির সাথেই হবে বিছানা।

সঙ্গী সাথি কেউ যাবেনা
হিসেবে কি তার আছে জানা,

সেই কোর্টেতে উকিল মোক্তার ঘুষ খাবেনা।

এই দুনিয়ায় বাহাদুরি মিছে সকল জারি জুরি
আমল নামা শূন্য হলে কাজে কিছুই দিবেনা।

অঙ্গ তোমার দিবে সাক্ষী
লাগবেনা যে কোনো রক্ষী
শেষ বিচারে যখন তুমি হবে আসামি

পূন্যের পালা ভারি হলে পাবে সেদিন পার
তানা হলে চিরতরে জাহান্নাম তোমার।